আমেরিকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে ১৬০,০০০ পাউন্ডেরও বেশি গ্রাউন্ড গরুর মাংস প্রত্যাহার ডেট্রয়েটের পুলিশের ৩০ কর্মকর্তাকে  দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো ফ্লিন্ট কিশোরকে গুলি করে হত্যার তদন্ত শেষ করেছে রাজ্য পুলিশ ইস্ট ল্যান্সিংয়ে জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তির মৃত্যু  হ্যারিসের অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়ায় মুসলিম ডেমোক্র্যাটের মামলা নতুন সিইসি সাবেক সচিব নাসির উদ্দীন হবিগঞ্জে ব্যারিস্টার সুমনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কিনছে সরকার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া ৪ টি বাড়িতে হামলার পেছনে দক্ষিণ দক্ষিণ আমেরিকান গ্যাং প্রস্তাব পাস : ডেট্রয়েটে গাঁজা এবং ই-সিগারেটে বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হচ্ছে মিশিগান মুসলিম গ্রুপকে হুমকিতে দোষী সাব্যস্ত ফ্লোরিডার বাসিন্দা ডেট্রয়েটে শিশু ও গর্ভবর্তী মায়েদের জন্য বিনামূল্যে রাইডস টু কেয়ার প্রোগ্রাম একাত্তরের অপরাধ প্রমাণিত হলে ক্ষমা চাইব: জামায়াত আমির ওরিয়ন টাউনশিপে বিস্ফোরণে কন্ডো ভবন বিধ্বস্ত, নিখোঁজ ২ আজ রাতে মিশিগানে মৌসুমের প্রথম তুষারপাতের সম্ভাবনা প্রায় ২.৬ মিলিয়ন মিশিগানের বাসিন্দা থ্যাঙ্কসগিভিং ডেতে ভ্রমণ করবেন হাসিনা ইস্যুতে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিলেন ড. ইউনূস সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২, অধ্যাদেশ জারি মহাখালীতে তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের রেল ও সড়ক অবরোধ

এখনো তালিকাভুক্ত হননি শ্রীমঙ্গলের অনেক মুক্তিযোদ্ধা

  • আপলোড সময় : ২৯-১২-২০২৩ ০৩:০২:২১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-১২-২০২৩ ০৩:০২:২১ অপরাহ্ন
এখনো তালিকাভুক্ত হননি শ্রীমঙ্গলের অনেক মুক্তিযোদ্ধা
শ্রীমঙ্গল, ২৯ ডিসেম্বর : শ্রীমঙ্গলের সত্যিকারের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই স্বীকৃতি পায়নি। তাদের মধ্যে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার একমাত্র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ মুসাব্বির, তৎকালীন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম এ রহিম, এস এ মুজিব, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, ডঃ রমা রঞ্জন দেব, ডাক্তার সুধাংশু রঞ্জন দাস , শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের জনসংযোগের চেয়ারম্যান মোঃ রইস মিয়া (শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল এর পিতা), আওয়ামী লীগের কমলেশ ভট্টাচার্য (তিনি সংগ্রাম পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য ছিলেন এবং স্বাধীনতার পর শ্রীমঙ্গল পৌরসভার গণসংযোগের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন), বিমল জ্যোতি চৌধুরী ননী, পৌর কমিশনার শহিদুল আলম প্রমুখ। 
উল্লেখ্য যে, ১৯৭০ সালের ৬ এপ্রিল পাকিস্তান সরকার সামরিক আইনের সৃষ্টি এম এল আর ক্লোজ এইট এর ধারা বলে পাকিস্তান ভাঙ্গা তথা জয় বাংলা মামলায় ন্যাপ দলীয় রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক রাসেন্দ্র দত্ত, মোহাম্মদ শাজাহান মিয়া, আওয়ামী লীগের এমএ রহিম ও এস এ মুজিব কে পাক সরকার গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার জেল হাজতে  প্রেরণ করে। পরদিন শ্রীমঙ্গল পৌরসভা মাঠে ন্যাপের পূর্বনির্ধারিত এক জনসভা ছিল। উক্ত জনসভায় যুগের অগ্নিকন্যা বলে খ্যাত বেগম মতিয়া চৌধুরী ও পাক আমলের ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সাংবাদিক আহমেদুল কবির ঢাকা থেকে ছুটে এসে জনসভায় জ্বালাময়ী বক্তব্য রেখে গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবি করেন। ফলে ন্যাপ , আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত তীব্র আন্দোলনের মুখে পাকিস্তান সরকার পরদিন তাদের নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে উক্ত নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্যরা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। ডাক্তার রমা রঞ্জন দেব ও ডাক্তার সুধাংশু রঞ্জন দাস ভারতের  ক্যাম্পে ডাক্তার হিসেবে শরণার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে সাহায্য করেন।

ন্যাপের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক রাসেন্দ্র দত্ত ভারতের একটি ক্যাম্পে সম্পাদক হিসেবে কাজ করে ভারত সরকারকে আইনশৃঙ্খলা পালনের সহযোগিতা ও বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য কাজ করায় ভারত সরকার তাঁকে সম্মানসূচক সার্টিফিকেট প্রদান করে। কিন্তু স্থানীয় যাচাই-বাছাই কমিটি সংকীর্ণ মনা রাজনীতির কারণে জয় বাংলা মামলার উপরোক্ত চার নেতা সহ অন্যান্যদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাদের আবেদন পত্রে  মুক্তিযোদ্ধা সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে অভিমত দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তাদের আবেদন গুলো প্রেরণ করেন। যা খুবই দুঃখজনক। যাচাই-বাছাই কমিটিতে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ থাকায় এবং উপরোক্ত ব্যক্তিদ্বয় সব সর্বমহলে পরিচিত থাকার কারণে এবং রাজনীতিতে তাদের বিশাল অবদান রয়েছে জেনেও উপরোক্ত বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ অভিমত ব্যক্ত না করায় অনেকে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। এর মধ্যে '৯০ এর গণঅদ্ভুত্থানের পর ন্যাপের মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া,  আওয়ামী লীগের এম এ রহিম প্রচুর বেদনা ও আক্ষেপ নিয়ে মারা গেছেন, এস এ মুজিব, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, গণসংযোগের চেয়ারম্যান মোঃ রইস মিয়া, ডাক্তার রমাদন দেব ডাক্তার, ডাক্তার সুধাংশু রঞ্জন দাস সহ অনেকেই মারা যান। অনেকে অনেক চেষ্টা করেও যাচাই-বাছাই কমিটির নেতৃবৃন্দের সংকীর্ণ রাজনীতির কারণে তাদের স্বীকৃতি আদায় করতে পারেননি। 
এর মধ্যে কয়েকজনের আপিল সংশ্লিষ্ট বিভাগের আপিল শুনানির অপেক্ষায় আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়া সত্বেও তাদের শুনানির কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না।


 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ